By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept
cricket8 Logo cricket8 Logo
  • হোম
  • ক্রিকেট সামগ্রী
  • ক্রিকেট বিশ্লেষণ
  • ফিরে দেখা কিছু মুহূর্ত
Reading: বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম ১০ টি স্টাম্পিং
Cricket8Cricket8
Aa
Search
  • হোম
  • ক্রিকেট সামগ্রী
  • ক্রিকেট বিশ্লেষণ
  • ফিরে দেখা কিছু মুহূর্ত
Follow US

Home » আপনি কি জানতেন? » বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম ১০ টি স্টাম্পিং

আপনি কি জানতেন?

বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম ১০ টি স্টাম্পিং

Last updated: 2024/08/07 at 11:08 PM
10 Min Read
Share
Fastest Stumpings in Cricket History
SHARE

শারীরিক নমনীয়তা ও দ্রুততা যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা, হোক তা পিচের মাঝে দৌড়ে নিরাপদে পরিকল্পিত সংখ্যক রান সংগ্রহ করার জন্য, বলকে সীমানার বাইরে বা পিচ থেকে খুব বেশি দূরে যাওয়া থেকে আটকানোর জন্য, অথবা স্টাম্পিং এর মাধ্যমে কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করার জন্য। আর এই শেষেরটির কথা উঠলে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম সবার আগে মাথায় আসে। ধোনি এবং অন্যান্য ক্রিকেটারদের গড়া সফল স্টাম্পিং-এর ১০ টি অনন্য সাধারণ দৃষ্টান্ত সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটির শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

Contents
বিশ্ব ক্রিকেটের ১০ টি দ্রুততম স্টাম্পিংমহেন্দ্র সিং ধোনি‘র সেরা ৩ টি স্টাম্পিংমহেন্দ্র সিং ধোনি বনাম কিমো পলমহেন্দ্র সিং ধোনি বনাম মিচেল মার্শমহেন্দ্র সিং ধোনি বনাম শুভমন গিলক্রিকেট জগতের উল্লেখযোগ্য ৭ টি স্টাম্পিংবেন কক্স বনাম ক্যালাম ম্যাকক্লেওডব্রেণ্ডন ম্যাক্কালাম বনাম রিকি পন্টিংমার্ক বাউচার বনাম মারভান আতাপাত্তুকুমার সাঙ্গাকারা বনাম জিমি ম্যাহের কুমার সাঙ্গাকারা বনাম ব্রায়ান লারাঅ্যাডাম গিলক্রিস্ট বনাম ক্রেইগ ম্যাকমিলানব্র্যাডলি বার্ন্স বনাম সৌরভ তিওয়ারি

বিশ্ব ক্রিকেটের ১০ টি দ্রুততম স্টাম্পিং

ওডিআই ও টিটোয়েন্টি‘র মত সীমিত ওভারের ক্রিকেট ম্যাচে স্টাম্পিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। সফল স্টাম্পিং এর জন্য একদিকে যেমন প্রয়োজন একনিষ্ঠ মনোযোগ, তেমনি প্রয়োজন শারীরিক নমনীয়তা ও দ্রুতগতি। স্টাম্পের পিছনে গ্লাভস হাতে এই দায়িত্ব পালনে মার্ক বাউচার, কুমার সাঙ্গাকারা, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মহেন্দ্র সিং ধোনি‘র মত বেশ কয়েকজন কৃতী উইকেট রক্ষক রীতিমত দ্রুততার ইতিহাস রচনা করেছেন। 

তবে ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে, ধোনি‘র মত এত অনন্য সাধারণ উইকেট রক্ষক এবং বহুল সংখ্যক স্টাম্পিং এর কৃতিত্ব আর কারও নেই। এমনকি, বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের দ্রুততম স্টাম্পিং রেকর্ডের কৃতিত্বও তার ঝুলিতেই রয়েছে। নিচের তালিকায় এক নজরে দেখে নিন বিশ্ব ক্রিকেটের ১০ টি দ্রুততম স্টাম্পিং।

ক্রমিক নংউইকেট রক্ষকবিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানক্রিকেট টুর্নামেন্ট
০১মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত)কিমো পল (ওয়েস্ট ইণ্ডিজ)দ্বিপাক্ষিক সিরিজ (২০১৮)
০২মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত)মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)দ্বিপাক্ষিক সিরিজ (২০১২)
০৩বেন কক্স (উরসেস্টারশায়ার)ক্যালাম ম্যাকক্লেওড (ডার্বিশায়ার)টি২০ ব্লাস্ট (২০১৮)
০৪মহেন্দ্র সিং ধোনি (চেন্নাই সুপিার কিংস)শুভমন গিল (গুজরাট টাইটান্স)ইণ্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (২০২৩)
০৫ব্রেণ্ডন ম্যাক্কালাম (নিউ জিল্যাণ্ড)রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)আইসিসি বিশ্বকাপ (২০১১)
০৬মার্ক বাউচার (দক্ষিণ আফ্রিকা)মারভান আতাপাত্তু (শ্রীলঙ্কা)দ্বিপাক্ষিক সিরিজ (২০০৬)
০৭কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)জিমি ম্যাহের (অস্ট্রেলিয়া)ভিবি সিরিজ (২০০৩)
০৮কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)ব্রায়ান লারা (ওয়েস্ট ইণ্ডিজ)দ্বিপাক্ষিক সিরিজ (২০০৭)
০৯অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (অস্ট্রেলিয়া)ক্রেইগ ম্যাকমিলান (নিউ জিল্যাণ্ড)দ্বিপাক্ষিক সিরিজ (২০০৫)
১০ব্র্যাডলি বার্ন্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)সৌরভ তিওয়ারি (ভারত)অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (২০০৮)

মহেন্দ্র সিং ধোনি‘র সেরা ৩ টি স্টাম্পিং

উপরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ১০ জন উইকেট রক্ষকের নামের শীর্ষ ৫ জনের মধ্যে ৩ টি নামই যখন ‘মহেন্দ্র সিং ধোনি‘, তাহলে তাকে নিয়ে একটু বিশেষভাবে আলোচনা করাই যায়। ধোনি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন, তখন তার উইকেট রক্ষণের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিল। সেই সময়ে জাতীয় দলের উইকেট রক্ষকের স্থানে নিয়োজিত করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মনের মত কাউকে পাচ্ছিলও না। ধোনি‘র সাথে একই সময়ে দিনেশ কার্তিকও বেশ কয়েকটি ম্যাচে উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে, নিজের পরিশ্রম, মেধা ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে ধোনি, ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বসেরা উইকেট রক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

মহেন্দ্র সিং ধোনি‘র সবচেয়ে দ্রুততম স্টাম্পিং

মহেন্দ্র সিং ধোনি‘র সবচেয়ে দ্রুততম স্টাম্পিং 

মহেন্দ্র সিং ধোনি বনাম কিমো পল

আগেই বলেছি যে ভারতের এই প্রাক্তন অধিনায়কের ঝুলিতে বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম স্টাম্পিং এর রেকর্ডটি রয়েছে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইণ্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ৪র্থ ম্যাচে মাত্র ০.০৮ সেকেণ্ড সময় নিয়ে ধোনি যে স্টাম্পিংটি করেন তাতেই ধরাশায়ী হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় কিমো‘কে। 

পুরো ঘটনাটি এতটাই দ্রুত ঘটে যে বিশ্বাস হতেও বেশ খানিকটা সময় লাগে। ম্যাচের ২৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রবীন্দ্র জাদেজা বলটিকে ঠিক প্রয়োজনমত স্পিন করিয়ে ধোনি‘র কাছে পৌঁছে দিলে, তিনি এক মুহুর্তও সময় নষ্ট করেননি। ক্রিকেটের ইতিহাসে ঐ ০.০৮ সেকেণ্ড নি:সন্দেহে সবচেয়ে ‍গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনার সাক্ষী। 

মহেন্দ্র সিং ধোনি বনাম মিচেল মার্শ

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ক্রিকেট দ্বন্দ্ব, ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের পরেই ক্রিকেট জগতের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক বিষয়। কিমো পলকে আউট করে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার আগে ধোনির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্টাম্পিংটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ‘র বিপক্ষে। ২০১২ সালে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক টিটোয়েন্টি সিরিজের ২য় ম্যাচে, রাহুল শর্মার বলে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে মিচেল ব্যাট চালাতে গেলে, মাত্র ০.০৯ সেকেণ্ড সময় নিয়ে ধোনি এই কীর্তি সাধন করেন। কিন্তু মাত্র ৬ বছর পরেই যে তিনি নিজেকেও ছাড়িয়ে যাবেন, তা কে জানতো!

মহেন্দ্র সিং ধোনি বনাম শুভমন গিল

৪১ বছর বয়সের ধোনির শারীরিক নমনীয়তা ও ক্ষিপ্রতার কাছে মাত্র ২৩ বছর বয়সী তারই স্বজাতীয় শুভমন গিলও হার মেনেছিলেন ২০২৩ সালে চেন্নাই সুপার কিংস ও ‍গুজরাট টাইটান্স এর মধ্যে অনুষ্ঠিত ইণ্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ-এর ফাইনাল ম্যাচে। এবারেও ধোনি‘র এই কীর্তি সাধনে সহকারি বোলার ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। ঐ স্টাম্পিং-এর পরে অনেকেরই মনে হয়েছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতেও ধোনি হয়তো একটু তাড়াহুড়োই করে ফেলেছেন।

ক্রিকেট জগতের উল্লেখযোগ্য ৭ টি স্টাম্পিং

বেন কক্স বনাম ক্যালাম ম্যাকক্লেওড

বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ১০ টি স্টাম্পিং এর তালিকায় স্থান করে নেওয়া বেন কক্সের এই স্টাম্পিং-এ ভাগ্যেরও খানিকটা অবদান রয়েছে, কারণ এটা ঘটানোর পিছনে উইকেট রক্ষকের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত টি২০ ব্লাস্ট-এর ঐ ম্যাচে, এড বার্নার্ড-এর করা ওভারের প্রথম বলটি একটু কোণাকুণিভাবে ব্যাটসম্যান ম্যাকক্লেওড-র কাছে পৌঁছালে, একটি রান সংগ্রহের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলটি থার্ড ম্যান বরাবর পাঠিয়ে দিতে চান। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে বলটি কক্সের প্যাডে লেগে ঘুরে গিয়ে স্টাম্পে ধাক্কা খায়। আর ঠিক ঐ মুহুর্তেই ব্যাটসম্যান ক্রিজের বাইরে থাকায় তাকে আউট ঘোষিত করা হয়।

ব্রেণ্ডন ম্যাক্কালাম বনাম রিকি পন্টিং

২০১১ সালের একদিনের বিশ্বকাপ আসরের ঐ ম্যাচটিতে, টিম সাউদির বলে পন্টিং ঠিক সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না। আর এই বিষয়টি লক্ষ্য করে, ম্যাক্কালাম স্টাম্পের আরও কাছে চলে আসেন, যা ফাস্ট বোলিং চলা অবস্থায় একটু অস্বাভাবিক আচরণ। কিন্তু এই অস্বাভাবিকতাটি বোলারেরও নজর এড়ায় না, ফলে দুইজনের মাঝে বিনা বাক্য ব্যয়ে নিবিড় পরিকল্পনা হয়ে যায় এবং তা সফলও হয় যখন পন্টিং ব্যাট দিয়ে বলটিকে ছুঁতেও ব্যর্থ হলে, তা সরাসরি উইকেট রক্ষকের কাছে চলে যায়। বাকিট কাজটুকু ম্যাক্কালাম সঠিক সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করেন । ঐ সময় পর্যন্ত এটা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম স্টাম্পিং এর একটি।

মার্ক বাউচার বনাম মারভান আতাপাত্তু

তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এই স্টাম্পিংটিকে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্টাম্পিংও বলা যায়। একই ম্যাচে একই বলে একজন ব্যাটসম্যানকে প্রায় দুইভাবে আউট করার প্রচেষ্টা, উইকেট রক্ষকের অসাধারণ পেশাদারিত্বের পরিচয়ও তুলে ধরে। ম্যাচের একটি বলকে মারভান প্রায় দেখতেই পাননি, যা সরাসরি উইকেট রক্ষকের হাতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই বাউচার ক্যাচের মাধ্যমে ব্যাটসম্যানকে আউট করার আবেদন জানান। সেই আবেদনে সাড়া পাওয়ার আগেই, ব্যাটসম্যান খুব অল্প সময়ের জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবেই ক্রিজের সামান্য বাইরে চলে যান। কিন্তু বাজের মত ক্ষিপ্রতা সম্পন্ন কোনো উইকেট রক্ষকের পক্ষে সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য ঐটুকুই যথেষ্ট।

মার্ক বাউচারের বুদ্ধিদীপ্ত স্টাম্পিং-এর শিকার মারভান আতাপাত্তু

মার্ক বাউচারের বুদ্ধিদীপ্ত স্টাম্পিং-এর শিকার মারভান আতাপাত্তু

কুমার সাঙ্গাকারা বনাম জিমি ম্যাহের 

নিজ দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা টেস্ট সিরিজের একটি ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটসম্যান জিমি ম্যাহের, কুমার সাঙ্গাকারা‘র এমন একটি স্টাম্পিং এর শিকার হোন যা সফল করতে উইকেট রক্ষককে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। স্পিন বোলিং-এর জাদুকর মুত্তিয়া মুরলিধরনের একটি বলে চার বা ছক্কা হাঁকানোর উদ্দ্যেশ্যে জিমি ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে যান। ‍কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বলটি ঘুরে গিয়ে বাঁ দিকে এতটাই দূরে চলে যায় যে সেটা ধরার জন্য, ভারসাম্য হারিয়ে সাঙ্গাকারা মাটিতে পরে যান। কিন্তু তিনি ঐ অবস্থাতেই বলটি স্টাম্পে ছুঁড়ে মারলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে বাধ্য হোন জিমি।

কুমার সাঙ্গাকারা বনাম ব্রায়ান লারা

ধোনি‘র হাতে মিচেল যেভাবে ধরাশায়ী হয়েছিলেন, সাঙ্গাকারার হাতে লারা‘র উইকেটের এই পতনটিও বেশ খানিকটা সেভাবেই ঘটেছিল। ২০০৭ সালের একটি ম্যাচে চামিন্দা ভাসের বলে অফ-সাইডে ড্রাইভ মারতে গিয়ে লারা, বলটি ছুঁতে পুরোপুরি ব্যর্থ হোন। কিন্তু বলটিকে যথাসময়ে গ্লাভস্-এর অধীনস্থ করে স্টাম্পে ছুঁড়ে মারতে সাঙ্গাকারা পুরোপুুরি সফল হয়েছিলেন। 

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বনাম ক্রেইগ ম্যাকমিলান

এর আগেও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত প্রায় একইরকম একটি স্টাম্পিং এর কথা বলেছি যেখানে ফাস্ট বোলারের বোলিং এর সময়ে উইকেট রক্ষক স্টাম্পের অতিরিক্ত কাছে চলে এসেছিলেন। তবে সেটা ছিল এই স্টাম্পিং-এর ৬ বছর পরে ঘটা। এই স্টাম্পিং এর সময়ে বোলার ছিলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। ব্যাটসম্যান ম্যাকমিলান‘কে ভয় দেখিয়ে ভুল করানোর উদ্দ্যেশ্যেই গিলক্রিস্ট স্টাম্পের অনেক বেশি কাছে অবস্থান নেন। ম্যাকমিলান, কোনো এক কারণে, বলটি পুরোপুরিভাবে মিস করেন এবং ক্রিজের বাইরে চলে যান। গিলক্রিস্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এক মুহুর্তও দেরি করেননি।

ব্র্যাডলি বার্ন্স বনাম সৌরভ তিওয়ারি

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের এই ম্যাচে ঘটে যাওয়া এই স্টাম্পিংটি, এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া অন্য স্টাম্পিংগুলোর চেয়ে স্বকীয় এবং সবচেয়ে কঠিনও বলা যায়, কারণ এখানে ব্যাটসম্যান সৌরভ তিওয়ারি একজন রানার বা দৌড়ানোর জন্য একজন সহকারির সাহায্য নিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অফ-স্পিনার ঈয়াসিন ভ্যালী অফ-স্টাম্পের সামান্য বাইরের দিকে লক্ষ্য করে একটি লো ফুলটস বল করেন। 

বলটিকে বুঝতে ব্যাটসম্যানের ভুল হয়, তবে তিনি কিন্তু ক্রিজের ভিতরেই ছিলেন। অন্যদিকে, ব্র্যাডলি অত্যন্ত পারদর্শীতার সাথে বলটি ধরে স্টাম্পের দিকে ছুঁড়ে মারেন কারণ, ব্যাটসম্যানের রানার সেই সময়ে ক্রিজ থেকে বেশ অনেকটাই বাইরে ছিলেন। একটু ভাল করে বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায়, ক্রিকেট আসলেই কৌশল শেখার সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র!

স্টাম্পিং ক্রিকেটের এমন একটা কৌশল যেখানে উইকেট রক্ষকের দক্ষতার উপরই সবকিছু নির্ভর করে। ধোনি‘র মত দক্ষ উইকেট রক্ষক অধিনায়কের পক্ষে, স্টাম্পিং সফলভাবে পরিকল্পনা ও সম্পাদনা করা তুলনামূলকভাবে সহজ, অবশ্যই তার মত সফল হতে গেলে তার পর্যবেক্ষণ শক্তি ও দ্রুততাও আয়ত্তে আনতে হবে। কিন্তু প্রায় অপরিকল্পিতভাবে এবং বেশ কসরত হাতে আনা বলকে সময়মত স্টাম্পে আঘাত করে উইকেটের পতন ঘটানোও কোনো শিল্পের চেয়ে কম নয়! আর ক্রিকেট ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে স্টাম্পিং-এর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ঘটনাগুলোই বলে দিচ্ছে।

You Might Also Like

ক্রিকেট জগতের শীর্ষ ১০ জন প্রভাবশালী ও স্বপ্রতিষ্ঠিত সহধর্মিণী

Bangladesh National Women’s Cricket Team এর পরিচয়

 Diamond Cricket League T10 এর জয়যাত্রা

বাংলাদেশ ক্রিকেট ফ্যানদের উন্মাদনা: ক্রিকেট প্রেমিকদের গল্প ও ইতিহাস!

জেনে নেই আফ্রিকার জনপ্রিয় Tanzania Cricket Premier League সম্পর্কে

TAGGED: fastest stumping, ms dhoni
Share This Article
Facebook Twitter Pinterest Whatsapp Whatsapp Telegram Email Copy Link Print
What do you think?
Love0
Sad0
Happy0
Sleepy0
Angry0
Wink0
Previous Article জেনে নেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু Cricket Skills যা স্বপ্নবাজ তরুণ ক্রিকেটারদের জানা অপরিহার্য জেনে নেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু Cricket Skills যা স্বপ্নবাজ তরুণ ক্রিকেটারদের জানা অপরিহার্য
Next Article আসুন জেনে নেই শীর্ষ ৯টি Lucknow Cricket Academy সম্পর্কে আসুন জেনে নেই  শীর্ষ ৯টি Lucknow Cricket Academy সম্পর্কে
cricket8 Logo

Insight, news, and analysis,
one ball at a time.

Welcome to Cricket8: Where Cricket Comes Alive Through Storytelling. Unveiling untold narratives, capturing cricket’s essence, and inspiring enthusiasts. Celebrating legends, moments, and emotions that define the game. Join us as cricket finds its voice, stories become the heartbeat, and the magic of storytelling illuminates cricket’s spirit for generation

Links

  • About
  • Contact

Follow Us

Facebook-f Instagram

Terms

  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Sitemap

Join Our FB Group

Facebook-f
Copyright ©2024 Cricket8. All Rights Reserved.
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?